বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় - এ কেন ভর্তি হবে?

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় - এ কেন ভর্তি হবে?

যারা ভার্সিটি সিলেকশন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছো তাদের জন্য--

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (BUTEX - বুটেক্স) বাংলাদেশের একমাত্র টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি বিশেষায়িত ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ✌️ শুধু বাংলাদেশেই নয় পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ৮ টি দেশের ভিতরে একমাত্র পাবলিক টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় বুটেক্স।।


বুটেক্স | BUTEX


👔👔কেনো একমাত্র?

এটির মুখ্য কারণ আপনাকে বুঝতে হবে বাংলাদেশ আরএমজি সেক্টরে প্রবৃদ্ধি তে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং সমগ্র পৃথিবীতে দ্বিতীয়। খুব সহজ কথা, একমাত্র টেক্সটাইল শিল্প ছাড়া আর কোনো সূচকে কি বাংলাদেশ এমন শীর্ষ অবস্থান অর্জন করতে পেরেছে বা আগামীতে পারবে বলে কোনো সম্ভাবনা আছে? 


👖👖2018-19 অর্থবছরে বাংলাদেশ 3413 কোটি ডলার রপ্তানি আয় করেছে পোশাক শিল্প থেকে (Source:EPB)। বর্তমানে নারীর কর্মসংস্থানে সব চাইতে যে সেকটরের অবদান তা হলো টেক্সটাইল।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের বানিজ্য যুদ্ধের কারণে আমেরিকা বর্তমানে পোশাকের জন্য বাংলাদেশের ওপর আরো বেশি নির্ভরশীল হবে এবং চীন নির্ভরতা কমাবে। এতে চীনের ২০% রপ্তানি কমে যেতে পারে ফলে এর ১০% যদি বাংলাদেশ সাপ্লাই দিতে পারে তাহলে এই শিল্পের অবস্থান এদেশের অর্থনীতি তে বিপ্লব সৃষ্টি করবে।


👔👔 এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় আয়ের ৮৩% এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বর্তমানে দেশে ৩২২৩ টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা আছে এর ভিতরে ঢাকায় ১১৭১ টি, গাজীপুরে ১০৫৩ টি, নারায়ণগঞ্জে ৬১৩ টি এবং চট্টগ্রামে ৩৮৬ টি। এছাড়া পোশাক শিল্পে কর্মরত আছেন ২৫ লাখ ৬২ হাজার মানুষ।


গত চার বছরে ২৬ টি বিশ্ব মানের পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা নির্মিত হয়েছে, সবমিলিয়ে ১২২ টি গ্রীন টেক্সটাইল নির্মাণাধীন।


বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অভাবনীয় সাফল্যের একমাত্র কারণ বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের অবদান। যদি এই সেক্টর ভেঙে যায় তাহলে ব্যাপক দারিদ্রতা এবং ডাচ ডিজিজের শিকার হতে পারে দেশ।


🧵👕তাই বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের পোশাক শিল্প কে আরো বেশি ত্বরান্বিত করতে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ২০১০ সালে ঢাকার শীর্ষ এলাকা তেজগাঁও তে তৎকালীন কলেজ অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি কে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র পাবলিক টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বুটেক্স এর পথচলা শুরু হয়।


🧵🧵শুধু এখন নয় এইখানে ১৯৭৮ সাল থেকে বিএসসি ডিগ্রি প্রদানের সময় থেকেই দেশ বরেণ্য মেধাবীদের পদচারণে ধন্য হয়েছে এই খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এইখানকার ছাত্রদের সুতীক্ষ্ণ মেধার ওপর ভর করেই ১৯৭৬ সালে টেক্সটাইল ছিল দর্জিদের প্রতিষ্ঠান কিন্তু আজকে অর্জন করতে পেরেছে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।


🥼👖তাই একথা সকলের জানা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য মানেই হলো বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের সাফল্য আর সেই সাফল্যকে ফিউশন বিক্রিয়ার মত আরো শক্তিশালী করতে কাজ করে বুটেক্স এর ইউরেনিয়াম-২৩৫ খ্যাত দেশের শীর্ষ মেধাবীরা। তাদের তেজষ্ক্রিয় উদ্ভাবনী শক্তি আর অদম্য নেতৃত্বে প্রতিদিনই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বাংলাদেশ রেকর্ড গড়ছে।


👕👕টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং- ই একমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং যে জ্ঞান অর্জন করে এদেশেই কাজ করার জন্য সুযোগ আছে। একটু হিসাব করে দেখুন তো আর কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং এর এত বড় সেক্টর আছে কি? দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে কি? মেধা পাচার না করে এদেশের দরিদ্র মানুষের করের টাকায় বিদ্যা অর্জন করে সেই বিদ্যাকে দেশের স্বার্থে কাজ করানোর আর কোনো প্রতিষ্ঠানের এত বৃহৎ সুযোগ আছে কি?


তাই আমি ক্লিয়ার করে বলতে চাই যদি স্বপ্ন থাকে দেশের জন্য কাজ করার, নিজের ভাগ্য পরিশ্রমের মাধ্যমে গড়ে নেওয়ার তাহলে বুটেক্স আপনার জন্য নিঃসন্দেহে একটা সেরা প্রতিষ্ঠান হতে পারে।


এছাড়া, বেশিরভাগ পাবলিক ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা কিছুটা আর্থিক সমস্যায় থাকে সেই সমস্যা মেটানোর জন্য ঢাকায় থাকা একটা আলাদা সুবিধা। কারণ একটা i-teen কলমের দাম ঢাকায় দশ টাকা এবং সারা বাংলাদেশে দশ টাকা। এরকম প্রায় সব জিনিসের দাম প্রায় দেশের সব জায়গায় সমান। কিন্তু এখানে ছাত্র পড়িয়ে সপ্তাহে তিন/ চার দিন ১/১.৫ ঘণ্টা সময় দিলে ৭-১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।


এছাড়া গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে আমাদের কে প্রায় সবার ঢাকাতে অবস্থান করা জরুরি হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে থেকে এসে নতুন করে সেটেল হওয়া খুবই টাফ হবে যা অনেকেই করতে পারেনা বলে পিছিয়ে যায়। আমরা যখন শুক্রবার বা শনিবারে ৫/১০ টাকা বা কখনো দুই মিনিট হেঁটে ( আদর্শ কলেজে সিট পড়লে) সরকারি চাকুরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি কতটা স্বাচ্ছন্দে ঠিক তখন দেখি ঢাকার বাইরে থেকে বন্ধু বা বড় ভাইয়েরা কত কষ্ট করে হাজার টাকা খরচ করে এসে গেস্ট হিসেবে থেকে পরীক্ষা দিতে হয়। এতে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেকের ভাল প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ভাল ফলাফল করতে পারেন না। এছাড়া ৪/৫ টা পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে গেস্ট হিসেবে আসতে বা প্রতি সপ্তাহে ঢাকা তে আসার খরচ বহন করতে না পারার দরুন অনেক স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটে।


👖👖বুটেক্স এ পড়লে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়--

1. পাশ করার পর চাকুরীর সুবিধা পোশাক শিল্পে

2. সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে সুবিধা। বুটেক্স থেকে ফরেন ক্যাডার এ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই। এছাড়া প্রতি বিসিএস এই ফরেন, পুলিশ, এডমিন সহ অন্যান্য ক্যাডার এবং নন ক্যাডার হিসেবে বুটেক্স এর অধীনস্থ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক সহ অন্যান্য চাকুরি।

3. উচ্চ শিক্ষার সুবিধা ( USA,UK,MIT and others)

4. গবেষণার সুবিধা

5. এছাড়া নিজের মেধা ও যোগ্যতা থাকলে নানারকম জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।


পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্বতার জন্য অনন্য তবে যদি স্বপ্ন থাকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার তবে বুটেক্স আপনার জন্য সর্বাপেক্ষা শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যে যেখানেই পড়ুন, পড়ালেখা করুন এবং অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে দেশের সেবা করুন তাহলেই ৩০ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ মা- বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সার্থকতা আসবে।

স্বাগতম বুটেক্স-৪৮ ব্যাচ কে।

"WE THE ENGINEER CREATING THE BRAND--MADE IN BANGLADESH"


--ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ হোসেন

--বুটেক্স-৪১ ব্যাচ

Texpedi.com

Texpedi.com | A reliable source of learning textiles

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post